বাঙালি নির্মূল ‘অভিযানে পাকিস্তানিদের সাফল্য ছিল সামান্যই। কারণ পাকিস্তানি সৈন্যরা সন্দেহভাজন বাঙালিদের চেহারা যেমন চিনত না, তেমনি পড়তে পারত না বাংলায় লেখা অলিগলির নম্বরও। এ জন্য তাদের নির্ভর করতে হতো স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতার ওপর। সামগ্রিকভাবে বাঙালিরা তখনো ছিল মুজিবের ফিরে আসার ব্যাপারে আশাবাদী। পাকিস্তানিদের প্রতি তারা ছিল নিস্পৃহ। ওই সময় যাঁরা এগিয়ে আসেন তাঁরা হলেন কাউন্সিল মুসলিম লীগের খাজা খয়ের উদ্দিন, কনভেনশন মুসলিম লীগের ফজলুল কাদের চৌধুরী, কাইয়ুম মুসলিম লীগের খান এ সবুর খান, জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক গোলাম আযম ও নেজামে ইসলাম পার্টির মৌলভী ফরিদ আহমদের মতো মুষ্টিমেয় কিছু ডানপন্থী।’ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের তখনকার জনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালিক তাঁর উইটনেস টু সারেন্ডার বইয়ে এসব কথা লিখেছেন।
শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১১
বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১১
আল-বদর বাহিনীর মাস্টার প্লান অনুযায়ী বুদ্ধিজীবী হত্যা
ঢাকায় বিপুল সংখ্যক বুদ্ধিজীবী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গভর্নর হাউসে এক সভায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে তাদের হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানী বাহিনী ও ঘাতক আল-বদরদের। একই কৌশলে দেশের প্রধান শহরগুলোতেও বুদ্ধিজীবীসহ শিতি লোকদের স্থানীয় সার্কিট হাউস বা কোনো সরকারি অফিসে আমন্ত্রণ করে নিয়ে হত্যা করে এ দেশকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করার চক্রান্ত ছিল ঘাতকদের। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ দৈনিক আজাদ-এ ‘আর একটা সপ্তাহ গেলেই ওরা বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের সবাইকেই মেরে ফেলত—বদর বাহিনীর মাস্টার প্লান’ শীর্ষক এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে এ পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এ পরিকল্পনা তারা ঠিক ঠিক মতো কার্যকর করতে না পারলেও যেটুকু করেছে তার বিবরণ পড়েই স্তম্ভিত হয়ে পড়ে তখন বিশ্ববাসী।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)